চান মিয়া,ছাতক, সুনামগঞ্জঃ ছাতকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণও পাহাড়ী ঢলে ছাতক উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১ হেক্টর রোপা আমন ফসলের বীজতলা, মৎস্য খামার, রাস্তা-ঘাট ও শাক-সবজীর বাগান। নোয়ারাই, ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, জাউয়া, দোলারবাজার, উওর খুরমা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, কালারুকা, ভাতগাওঁ ও দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সুরমা, চেলা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বটেরখাল, বৈঠাখাল ও বোকানদীসহ সবকটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০সেন্টিমিটার, পাহাড়ি নদী চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা ও অবিরাম বর্ষনে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। প্রবল ¯্রােতের কারনে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পাথরবাহী বার্জ, কার্গো ও ভলগেট নৌকায় পাথর-বালু লোডিং-আনলোডিং বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে ১০সহ¯্রাধিক পাথর শ্রমিক। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর-মনিপুরী বস্তির বেড়িবাধ ভেঙ্গে পঢ়েছে পাহাড়ি ঢলে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দু’শিশু। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে আসা বানের পানিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় অহিদুজ্জামান রাসান (১২)ও তার চাচাতো ভাই হামিদুজ্জামান আবিদ (৮) নামের দু’শিশু। রাসান ইসলামপুর ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের কামরুজ্জামানের পুত্র ও ছাতক জালালিয়া আলিম মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র এবং হামিদুজ্জামান আবিদ একই গ্রামের বদরুজ্জামান খছরুর পুত্র ও গোয়ালগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র। সোমবার বিকেলে তলিয়ে যাওয়া এ দু’শিশুর লাশ পানিতে ভেসে উঠে। এছাড়া বৃহস্পতিবার পাভেজ আলম (১২)নামের এক শিশু বটেরখাল নদীতে সাতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে সিংচাপইড় আলিম মাদরাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের সদুখালি গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র। সন্ধায় একটি বাঁশের সাঁকোতে আটকে পড়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।